কক্সবাজার প্রতিনিধি
দুইদিন ধরে টক অব দ্যা ডিস্ট্রিক্ট হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিন হত্যাকান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এরমধ্যে ঘাতক কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীর আবুল হাশেমের পুত্র আশরাফুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে তার স্বীকারোক্তি ভিন্নপ্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রেপ্তারের আশরাফুল স্বীকারোক্তিতে পুলিশকে জানিছে সাইফুদ্দিন তাকে বলাৎকার করে ভিডিও ধারণ করে। সে ভিডিও মোবাইল থেকে মুছে না দেয়ায় সাইফুদ্দিনকে একাই হত্যা করে আশরাফুল।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম
আশরাফুল জানিয়েছে, ঘটনার দিন মদ নিয়ে প্রথমে একবার হোটেল সানমুনের ২০৮ নং কক্ষে যায় দুইজন। সেখানে আশরাফুলকে প্রথমবার বলৎকার করেন সাইফুদ্দিন। এরপর চলে গেলে আবারো ডেকে এনে পুনরায় বলৎকারে চেষ্টা করে।
ঘাতক আশরাফুলকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সাইফুদ্দিনের মোবাইল ফোনটি ভঙ্গুর অবস্থায় ড্রেন থেকে উদ্ধার করে এবং খুরুশ্কুলের নয়ন নামের একজনের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেন পুলিশ।
এদিকে ঘাতক আশরাফুলের উদ্ধৃতি দিয়ে সাইফুদ্দিনের বলৎকার সংক্রান্ত পুলিশ যে বক্তব্য দিয়েছে তা প্রত্যাখান করেছে পরিবার। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিহত সাইফুদ্দিনের ভাই মহিম জানিয়েছেন পুলিশের সে বক্তব্যে তারা সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছেন। আশরাফুল মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে দাবি করে মহি দাবি করেছেন, সাইফুদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশ যথাযত তদন্ক না করেই আশরাফুলের বক্তব্যকে চূড়ান্ত মনে করছেন। সাইফুদ্দিনের চরিত্র হননের অভিযোগ তুলে আরো গভীর তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করার দাবি জানান মহিম।
জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলনের বলৎকার সংক্রান্ত বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ভিন্ন ধারণা তৈরি হয়েছে। অনেকে নাখো প্রকাশ করেন। তবে হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন।
গত সোমবার কক্সবাজার শহরের হলিউডে মোড়স্থ হোটেল সানমুনের ২০৮ নং কক্ষ থেকে সাইফুদ্দিনের রক্ষাক্ত মরদেহ করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে টেকনাফে হোয়াইক্যং থেকে ঘাতক আশরাফুলকে আটক করে পুলিশ।