Chattogram24

Edit Template
মঙ্গলবার, ১২ই ডিসেম্বর ২০২৩

বনবিভাগের নিরবতা, দারিয়ারদিঘী বিটে প্রতিনিয়ত গড়ে ওঠছে বহুতল ভবন

বিশেষ প্রতিবেদক:

বনের জমি পুনরুদ্ধারে সারাদেশে যেখানে সাড়াশি অভিযানে নেমেছে বনবিভাগ, সেখানে রামু রাজারকুল রেঞ্জের আওতাধীন দারিয়ারদিঘী বিটের সংরক্ষিত বনের ভেতর প্রতিনিয়ত গড়ে ওঠছে নানা স্থাপনা। দায়িত্বশীলদের কর্তব্য পালনে অবহেলা ও অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কারণে বনের জমি পুনরুদ্ধারের মতো সরকারের এ যুগান্তকারী পদক্ষেপের সুফল মিলছে না বলে পরিবেশবাদীদের অভিমত।

সরেজমিনে দেখা যায়, দারিয়ারদিঘী বনবিটের বড়ঢেবা স্টেশনের পূর্ব পাশে অর্থাৎ পূর্ব ধেছুয়া পালং এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমির ১ একর ২০ শতক জমি দখল করে নির্মিত হচ্ছে একটি পাকা দালান (ভবন)। নির্মাণাধীন ওই ভবনের পাইলিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। এখন ইট গাঁথুনির কাজ চলছে। আশেপাশে মজুদ রয়েছে ইট, বালি, রডসহ যাবতীয় কাঁচামাল ও সরঞ্জাম।

গত একমাস ধরে এলাকার আবু ছৈয়দের ছেলে মোস্তাক আহমদ ওরফে সেক্রেটারি মোস্তাক ভবনটি নির্মাণ করে আসলেও তা নজরে আসেনি বনবিভাগের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজারকুল রেঞ্জের আওতাধীন দারিয়ারদিঘী বনবিটে প্রচুর বনভূমি রয়েছে। কিন্তু বনবিভাগের নিষ্ক্রিয়তায় দিনদিন কমছে এর আয়তন। সংরক্ষিত এসব বনভূমিতে বর্তমানে গড়ে ওঠেছে শতশত কাঁচা-পাকা স্থাপনা। তাছাড়া বনের মূল্যবান গাছগাছালি চুরি, সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি লুট ও পাহাড়ি ছড়া থেকে বালু তুলে বিক্রি হচ্ছে অবাধে।

স্থানীয় পরিবেশবাদীদের দাবী, বনবিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বনভূমি দখলে জড়িত। এতে বনাঞ্চলের বিপুল পরিমাণ জায়গা বেদখল হচ্ছে।

বনের জমিতে অবৈধভাবে ভবন স্থাপনকারী মোস্তাক আহমদ সাংবাদিকদের বলেন- এটা আমার জায়গা। আমার জায়গায় আমি ঘর করবো। এখানে বাঁধা দেয়ার কে আপনারা? আমার জন্য কি করবেন করেন। আমি কাউকে ভয় পায়না। উল্টো সাংবাদিকদের হুমকি দেন তিনি।

এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা আরজু মিয়া বলেন, বড়ঢেবা বাজারের পূর্ব পাশ এলাকায় বনের জমিতে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জায়গাটি তদন্ত করছি, দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে বলে গত ১০/১২ দিন ধরে কোন ব্যবস্থাই নেন নি বিট কর্মকর্তা আরজু মিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *