বিশেষ প্রতিবেদক:
নয়ন নামে যুবকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় হাফেজ আশরাফুল ইসলামের। সেই পরিচয় আরও ঘনিষ্ঠ করে রোববার বিকেলে বড় বাজার থেকে দেশীয় মদ ও পেয়ারা কিনে হলিডে মোড়ের হোটেল সানমুনের ২০৮ নম্বর কক্ষে উঠেন তারা। সেখানে দেশীয় মদ ও পেয়ারা খাইয়ে মাদরাসা ছাত্র আশরাফুলকে এক পর্যায়ে যৌন নির্যাতন করে সাইফ উদ্দিন। যৌন নির্যাতন করে সাইফ সেই ভিডিও ধারণ করে নিজের মোবাইলে। পরে বাইকে করে গোলদিঘির পাড়ে নামিয়ে দিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে চলে যেতে বলে আশরাফুলকে।
এর একঘণ্টা পর আবারও তাকে ফোন করে হোটেলে ডাকে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ। সেখানে আবারও চেষ্টা করা হয় যৌন নির্যাতনের। এক পর্যায়ে নিজের ওপর যৌন নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতেই আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনকে হত্যা করে মাদরাসা ছাত্র আশরাফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এসব তথ্য জানান।
আশরাফুল খুনের পর আলামত নষ্ট করার চেষ্টাও করে। পরে সোমবার মধ্যরাতে পালানোর সময় টেকনাফ হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর মোবাইল ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা খুনে অভিযুক্ত আশরাফুল কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকায়। সোমবার রাতে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তার বাড়ি তালাবদ্ধ করে পরিবারের সবাই উধাও। তবে স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত ৯টার দিকে হাতে রক্তাক্ত অবস্থায় বাসায় এসেছিলো আশরাফুল, যা দেখে সন্দেহ হয়েছিলো তাদের।
সোমবার সকালে হোটেল সানমুন থেকে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন।