নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঘুষের টাকা না দেওয়ায় উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত রাজীব বড়ুয়া নামের এক ইমুনাইজেশন ওয়ার্কারের বেতন কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এখই পোগ্রামের রাসেল মোস্তফা নামক এক ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা গেছে- ২০১৯ সাল থেকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে ইমুনাইজেশন ওয়ার্কার পদে ক্যাম্প-১৫ এর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করে আসছে রাজীব বড়ুয়া (৪২)। রাজীব বড়ুয়া চাকরিতে যোগদানের পর থেকে তার নিজের উপর অর্পিত সমস্ত দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করেছে।
উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে ইমুনাইজেশন ওয়ার্কার পদে মোট ১০৮ জন সদস্য উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরী করে। অভিযুক্ত রাশেল মোস্তফা (৪৫) একজন দুর্নীতিবাজ লোক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত আছে। সে প্রতিমাসে ১০৮ জন কর্মচারীর কাছ থেকে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে মোট ১০,৮০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে।
গত ২৪ নভেম্বর রাসেল মোস্তফা রাজীবের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ঘুষ দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে তার ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এছাড়াও রাসেল চাকরিরত কর্মচারীদের ভয়ভ্রীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে। তিনি প্রায় সময় রাজীবকে এবং নিয়োগকৃত কর্মচারীদের স্যার বলে সম্বোধন করতে বাধ্য করে। পরে রাসেলের দাবিকৃত ৫০০০ টাকা ঘুষ না দিলে রেগে যায় এবং কোন অজুহাত ছাড়াই রাজীব বড়ুয়ার ৪ দিনের বেতন কেটে নিয়ে অক্টোবর মাসের বেতন চূড়ান্ত করে। যদিও রাজীব বড়ুয়া সবসময় কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতো।
রাজীবের প্রাপ্য বেতন থেকে ৪ দিনের কম হওয়ায় রাজীব ২৭ নভেম্বর আনুমানিক ২.৩০ মিনিটে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাসেলের অফিস কক্ষে গিয়ে তার ৪ দিনের বেতন কাটার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি রাজীবকে বেতন কর্তনের কোন কারণ দেখাতে পারেননি। তাছাড়া বেশি বাড়াবাড়ি করলে তিনি রাজীবকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। যার কারণে রাজীব উদ্বেগ, ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।”