Chattogram24

Edit Template
Search
Close this search box.
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪

মিলেমিশে এম পিও ভুক্তিতে জালিয়াতি, মূল হোতা প্রধান শিক্ষক লিটন

Author picture
স্টাফ রিপোর্টার
জে এম ঘাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়

কাইছারুল ইসলাম, মহেশখালী:

মহেশখালী উপজেলাধীন শাপলাপুর ইউনিয়নের জে. এম.ঘাট আর্দশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাবের অনুমোদন না থাকলেও এম পিও ভুক্তি হয়েছেন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর।ল্যাব অনুমোদনবিহীন ল্যাব অপারেটর এম পিও ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্নের শেষ নেই!অনুমোদন বিহীন ল্যাব সহকারী নিয়োগের মতো এমন জালিয়াতি কি করে সম্ভব?
একটি এম পিও’র ফাইল প্রসেসিং করতে উপজেলা/জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের স্বাক্ষরিত ফাইল মাউশিতে পাঠাতে হয়।এতগুলো টেবিল ঘুরে গেলেও এমন দুর্নীতি কি কারো চোখে ধরা দেয়নি?নাকি সবাই মিলে এসবে জড়িত? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এখন!

অনেকের দাবি অসম্ভব বলতে কিছু নেই লিটনের কাছে।দুর্নীতির এই বরপুত্র সিন্ডিকেট করে উপজেলা /জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের আঁতাত করে অনুমোদন না থাকলেও ল্যাব অপারেটর এম পিও করান। এমনকি তাঁর পেছনে মাউশির কর্মকর্তাদের সাপোর্ট রয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে।মাউশি থেকে কোন কর্মকর্তা কক্সবাজার পরিদর্শনে আসলে তাঁদের সাথে ঘুরতেও দেখা যায় এই ভদ্রলোককে।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ১ম ও ২য় পর্যায়ে ২ বার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব অনুমোদন দিয়েছে।প্রথম পর্যায়ে মহেশখালীতে৫ টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে১২ টি প্রতিষ্ঠান ল্যাবের অনুমোদন পেয়েছে। তন্মধ্যে জে.এম ঘাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও বেতনের তালিকায় দেখা যায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত আছেন রবিউল হাসান রুবেল,যার ইনডেক্স নাম্বার N56863462।ল্যাব অনুমোদন না হয়েও এম পিও হওয়ার মতো এমন নজিরবিহীন ঘটনা খুবই বিরল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান,উক্ত প্রতিষ্ঠানে ল্যাবতো দূরের কথা একটা কম্পিউটার ও নাই।ল্যাব অপারেটর এম পিও’র বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক।তিনি আরো জানান,বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলমের ভাতিজা নিয়োগ প্রাপ্ত ল্যাব অপারেটর রবিউল হাসান রুবেল।সভাপতিকে লিটনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করার জন্য তিনি ল্যাব অনুমোদন না হয়েও ল্যাব সহকারী এমপিও’র মতো এমন নজিরবিহীন ঘটনা করতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে জানতে ল্যাব অপারেটর রবিউল হাসান রুবেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ল্যাব অনুমোদন আছে বলে জানান,কিন্তু কোন পর্যায়ে অনুমোদন হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে দেখা করার জন্য অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক কাইছার লিটনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা জানান,ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ল্যাব সহকারী এম পিও করা হয়েছে।এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।তাঁর মাধ্যমে সব প্রসেসিং হয় বলে দাবি করেন ঐ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন,ঐ সময়ে আমি ছিলাম না,আমি এসব জানিনা,এম পিও’র বিষয়টি মাউশি করে, এসব মাউশি বুঝবে।এখন জানার পর কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা জানতে চাইলে, তিনি দায় এড়িয়ে মাউশির দায়িত্ব বলে ফোন কেটে দেন।
পরবর্তীতে আবার যোগাযোগ করলে তিনি দায় স্বীকার করে ভুল হয়েছে বলে জানান এবং এই বিষয়ে তদন্ত চলছে,তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন জানান, ল্যাব অনুমোদন ছাড়া এম পিও হওয়া সম্ভব নয়,যদি হয়ে থাকে সেটা অনৈতিক। তিনি এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে মাউশির আঞ্চলিক উপ-পরিচালক উত্তম খীঁসার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন,ওনার ভুলে এমনটা হওয়ার কথা জানালে তিনি এমন ভুল হওয়ার কোন কারণ নেই বলে জানান এবং যদি এমনটা হয়ে থকে কাগজপত্র যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।