Chattogram24

Edit Template
Search
Close this search box.
শনিবার, ১১ই মে ২০২৪

সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু আছে, ক্রেতা নেই

Author picture
স্টাফ রিপোর্টার

অনলাইন ডেস্ক:

সকাল ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত মাত্র ১৫ জন ক্রেতার কাছে পাঁচ কেজি করে আলু বিক্রি করেছি।বাকি সব ট্রাকেই রয়েছে।রোদ গায়ে লাগছে।তাই মাথায় ব্যাগ ধরে আছি।কখন ক্রেতা আসবেন,ঠিক নেই।’কথাগুলো বলছিলেন খোলাবাজারে আলু বিক্রেতার প্রতিনিধি নুরনবী।

জয়পুরহাটের কালাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গত ০২ নভেম্বর থেকে ট্রাকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে।তবে চারদিন পার না হতেই ক্রেতাশূন্য।আলুবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে দীর্ঘক্ষণ।তবে সামনে ক্রেতা ছিলেন না।বিক্রেতারা বসে ছিলেন। ৩৬ টাকা দরে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৯ জন আলু কিনেছেন।তিন হাজার কেজি আলুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১৯৫ কেজি।

অথচ আলুর দাম অর্ধশতক পার হওয়ায় সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে।পরে জয়পুরহাটে বাজার নিয়ন্ত্রণে এমন উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার থেকে পাঁচটি উপজেলায় একযোগে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে।

জানা গেছে,প্রথম দিকে মানুষের মধ্যে আলুর ব্যাপক চাহিদা ছিল।তবে এখন আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তারা।রোববার সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত কালাই উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে আলুভর্তি ট্রাকের দেখা মিললেও দেখা মেলেনি ক্রেতাদের।

আলু উৎপাদনের এলাকা হিসেবে পরিচিত কালাই উপজেলা।স্থানীয়দের প্রায় সবার বাড়িতে খাবার আলু সংরক্ষিত আছে বলে জানান পৌর শহরের তালুকদারপাড়ার ফেরদাউস হোসেন তালুকদার। তিনি বলেন,দাম কম-বেশি হলেও আলুর মান তেমন ভাল না হওয়ায় এলাকার মানুষের তেমন একটা আগ্রহ নেই।

আলু রোপণের মৌসুম শুরু হয়েছে জানিয়ে আওড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, বীজ আলুর অতিরিক্ত অংশ খাবার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।এ কারণে চাহিদা কমেছে। ৩৬ টাকার কম দামে দিলেও বিক্রি হবে না। যে এলাকায় চাহিদা বেশি,সেখানে বিক্রি করা ভালো হবে।

আগের দু’দিন সড়কের পাশে দাঁড়ানোর তিন-চার ঘণ্টার মধ্যেই সব আলু বিক্রি হয়ে যায় বলে জানান আলু বিক্রেতা আবুল কাসেম।তাঁর ভাষ্য,তারা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলু বিক্রি করছেন।আগের দু’দিন সব বিক্রি হলেও এখন উল্টো চিত্র।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি বলেন,নেয়ার চাহিদা কমে গেলে তো আলুর দামও কমবে।তবুও বাজার নিয়ন্ত্রণে খোলাবাজারে ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি এবং তদারকি অব্যাহত থাকবে।