সীতাকু্ণ্ড প্রতিনিধিঃ-
সীতাকুণ্ডে গয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ২ কোটি টাকারও বেশি মেয়াদ উত্তীর্ণ তিন হাজার পেকেট পোল্ট্রি ফিড আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এসব পোল্ট্রি ফিডগুলো অনেক আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। ফলে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ এগুলো ডাম্পিং করার নির্দেশ দিলেও কোন একটি দুস্কৃতিকারী চক্র মেয়াদোত্তীর্ণ ফিডগুলো সংগ্রহ করে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত একটি গোডাউনে নিয়ে আসে। সেখানে এনে এসব পোল্ট্রি ফিডগুলোর সাথে কিছু বিস্কিটের গুঁড়ো ও উপাদান মিশিয়ে এটি ব্যবহারের অনুপোযোগি করে। এর পরে সৌদি আরবের একটি কোম্পানীর মোড়কে নতুন খাদ্য বলে তারা বাজারজাত করার প্রক্রিয়া করছিলো। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার বাঁশবাড়িয়া ঐ গোডাউনটি ঘিরে ফেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। পরে খাদ্যগুলো জব্দ করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নুর আহমদ জানান, সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় হাইওয়ে থানা সংলগ্নে নাম বিহীন একটি গোডাউনে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ হাজার হাজার বস্তা পোল্ট্রি ফিডকে অবৈধভাবে নতুন করে মোড়কজাত করা হচ্ছে। এমন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা রবিবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ওসি ডিবি কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে অনুসন্ধান শুরু করে গোডাউনটি সনাক্ত করেন। শেষে সোমবার সকাল থেকে ঐ গোডাউনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, ওসি কামরুজ্জামান, ওসি ডিবি নুর আহাম্মদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে একটানা অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিকাল পর্যন্ত এ অভিযানে জব্দ করা হয় তিন হাজার প্যাকেট পোল্ট্রি ফিড। প্রতি প্যাকেটে ৫০ কেজি করে মুরগির খাদ্য ছিলো। আনুমানিক মূল্য ছিলো ২ কোটি টাকারও বেশি।
তিনি আরো বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব ফিড ব্যবহারের অনুপোযোগি হওয়ায় নির্জন ¯’ানে মাটিতে পুঁতে ফেলার কথা। কিন্তু তা না করে দুস্কৃতিকারী চক্রটি অল্প মূল্যে কিনে তার সাথে কিছু বিস্কিটের গুড়োসহ উপাদান মিশিয়ে সৌদি আরবের একটি কোম্পানীর নতুন পেকেটে পুনরায় উচ্চ মূল্যে বাজারজাত করছিলো। আমরা পেকেটগুলো জব্দ করি।
জেলা ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার জানিয়েছেন প্রচন্ড দুর্গন্ধযুক্ত মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাকেটগুলো ও বিষাক্ত খাদ্যে পরিণত হয়েছে এসব। দুর্গন্ধে প্যাকেটের কাছেই দাড়ানো যাচ্ছিলনা।
এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে প্রাথমিকভাবে জনৈক মোহাম্মদ ইলিয়াছসহ কয়েক জনের নাম পাওয়া গেছে। যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের নামগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।